নিউজবাংলা ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আর এবার প্রায় ২৬ হাজার ‘চাকরি হারা’ শিক্ষককে স্বস্তি দিয়ে এপ্রিলের বেতন ঢুকল তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষকের স্যালারি অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা ক্রেডিট হয়েছে। কারও ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে পরে। এমনকী, এদিন বেশকিছু (WB SSC Recruitment) শিক্ষক ভোটের ডিউটির ট্রেনিংয়ের চিঠিও পেয়েছেন। বীরভূমের এক শিক্ষক জানান, ৪ মে তাঁর ভোটের ট্রেনিংয়ের ডিউটি এসেছে। তিনি তাতে যোগ দেবেন বলেই ঠিক করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টকে রাজ্য তথা এসএসসি জানিয়ে এসেছে, আদালত চাইলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথক করে সেই তালিকা জমা দিতে তারা তৈরি। তবে, কোন পদ্ধতিতে তা করা হবে, সে ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সরকার বা এসএসসি। এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, আদালত যে পদ্ধতিতে এগনোর নির্দেশ দেবে, পদক্ষেপ করা হবে সেভাবেই। আগবাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ স্কুলশিক্ষা দপ্তর বা এসএসসি করবে না।
আরও পড়ুন : ২৬ বছর পর কাটল জট, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবী মেনে আইসিডিএস সুপারভাইজার পদে আসন সরক্ষণ রেখেই নিয়োগ ! |
এদিকে, সিবিআইয়ের উদ্ধার করা তালিকা অনুযায়ী যাঁদের ওএমআর শিটের সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরের গরমিল রয়েছে, তাঁদের অনেকেই সেটার প্রতিবাদ করছেন। দেখা যাচ্ছে, ওএমআর গরমিলে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষকের প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। এর ফলে এমন শিক্ষকরা এসএসসির তরফে কোনও প্রযুক্তিগত বা ক্লারিকাল ভুলও হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করছেন। পশ্চিম বর্ধমানের এক শিক্ষিকা বলেন, নম্বর বাড়াতে কাউকেই যে টাকা দিইনি, তা আমি জানি। তবু আমার নম্বরের হেরফের হয়েছে মানে, কোথাও ভুল রয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হোক।
বেহালার এক শিক্ষিকা জানতেনই না তাঁর নাম সিবিআইয়ের নথিতে অযোগ্যদের তালিকায় রয়েছে। স্কুলে আগাগোড়া প্রথম হয়েছেন তিনি। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরেও পেয়েছেন ফার্স্ট ক্লাস। ওই শিক্ষিকা মামলা করতে গিয়ে জানতে পারেন, তিনিও অযোগ্যদের তালিকায়! ফলে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, আগের পরীক্ষার সময়েও স্ক্রুটিনির ভুলে তিনি কম নম্বর পেয়েছিলেন। ফলে কাউন্সেলিংয়ে বহু দূরের স্কুল পাওয়ায় তিনি কাজে যোগ দেননি। এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু হয়েছে বলে তাঁর ধারণা।
তবে ইতিমধ্যেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমানে মরিয়া চাকরী হারা যোগ্যরা। নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণোপত্র সহ আলাদা আলাদা ভাবে হলফনামা দেওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন অবস্থায় প্রস্তুতি চালাচ্ছেন তাঁরা। কলকাতার শহীদ মিনার চত্বরে চলছে যোগ্যদের হলফনামার ফর্মফিলাপ চলছে। হকের চাকরী ফেরৎ পেতে সুপ্রিম কোর্টে আইনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি চরমে রয়েছে বলে জানিয়েছেন যোগ্য শিক্ষকরা।