নিউজবাংলা ডেস্ক, পুরুলিয়া : পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনের অন্যতম এক সাক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত ব্যক্তির নাম নিরঞ্জন বৈষ্ণব (৫০) ওরফে শেফল। ঝালদায় বাড়ির মধ্যে থেকে শেফল’এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গতঃ তপন কান্দুর সঙ্গে প্রতিদিন যারা সান্ধ্য ভ্রমণে বের হতেন তার মধ্যে অন্যতম শেফল।
সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ তপন কান্দুকে যখন গুলি করে খুন করা হয় সেদিনও তপনের সঙ্গে ঘটনাস্থলেই ছিলেন শেফল। কারা কিভাবে তপনকে খুন করেছিল সেই মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন শেফল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শেফল আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের দাবী, শেফলের হাত থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। সেই চিরকুটে নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকেই দোষী সাব্যস্ত করে যাননি শেফল।
তবে ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে, “যে দিন তপনের হত্যা হয় সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোন রকম বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু ওই ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরা ফেরা করছে”। এরই পাশাপাশি তদন্তের নামে তাঁকে বারে বারে পুলিশের ডেকে পাঠানোর ঘটনাতেও তিনি বিব্রত ছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে চিরকুটে। সেখানে লেখা “তারপর পুলিশের বার বার ডাক। আমি জীবনে কখনও পুলিশের চৌকাঠ পার করিনি। তাই এই সব আমি আর সহ্য করতে না পারার জন্য আমি এই পথ বেছে নিলাম”। যদিও নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করেননি তিনি। লিখেছেন, “এতে কারো কোন প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করলাম”। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে।
এদিকে পুরবোর্ড গঠনের দিন ঝালদা পুরভবনের পাশে কংগ্রেসের ঘোষিত কর্মসূচি ‘কালা দিবস’ এ বাধা দিয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে পুলিশি হেনস্তা করার প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে ঝালদা পুরশহরে বনধ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বনধের সমরথনে কংগ্রেস কাউন্সিলদের পাশাপাশি নিহতের তপন কান্দুর স্ত্রীও সকাল থেকেই রাস্তায় বসে পড়ে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp