নিউজবাংলা ডেস্ক : পূর্ত দফতরের তরফে সুতাহাটা ব্লকের চৈতন্যপুর বাজার থেকে ফুকড়াহাটি পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। গত ১৫ মার্চ পূর্ত দফতর চৈতন্যপুর বাজারের দোকানদারদের সরে যাওয়ার নোটিস দেয়। তাতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হলদিয়ায় চৈতন্যপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, এর জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে মামলাকারীকে। তার আগে ব্যবসায়ীদের তরফে, জেলাশাসক, বিডিও, মহকুমাশাসকের কাছে স্মারলিপি দেওয়া হয়। তাতে কিছু সুরহা না খাওয়াতে এক মুদি দোকানের মালিক স্বপন কুমার মাইতি পূর্ত দফতরের ওই নোটিসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। এতেই তিনি হুমকি এবং হামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
স্বপন জানান, গত ১৬ মে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দোকান বন্ধ করার সময় তাঁর উপর চড়াও হন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অরুণ ডিণ্ডা এবং তাঁর ৩০-৩৫ জন অনুগামী। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন থেকে বাড়ি ছাড়া স্বপন। ডাক যোগে তিনি তৃণমূল নেতা অরুণ-সহ তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বপনের কথায়, “১২ মে হাইকোর্ট পূর্ত দফতরের নোটিসের উপরে ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়। স্থগিতাদেশের নির্দেশ জানাজানি হওয়ার পরেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি এবং মারধর করা দিচ্ছে।” যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কখনও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কাউকে চাপ দিইনি।”
সংবাদ সূত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp