Homecrime storyCBI : ষষ্ঠ দফার ভোটে এক সপ্তাহ বাকি, তার মাঝেই কাঁথির একাধিক...

CBI : ষষ্ঠ দফার ভোটে এক সপ্তাহ বাকি, তার মাঝেই কাঁথির একাধিক তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা, কিন্তু কেন… !

spot_img
spot_imgspot_img

Cyclone Update : ঘূর্ণির দাপট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দিঘা, দেখুন ভিডিওটি

- Advertisement -

নিউজবাংলা ডেস্ক : আর এক সপ্তাহ বাদেই লোকসভার ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। তারই মাঝে শুক্রবার সকাল থেকে কাঁথি ৩ ব্লকে জোরাল অভিযানে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এদিন বিশাল পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কাঁথির মারিশদা থানা এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান সিবিআই আধিকারীকরা। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সিবিআইয়ের দলটি মারিশদার ভাজাচাউলির সিজুয়া গ্রামে হাজির হয়। রাস্তায় গাড়ি রেখে গ্রামের পথে বিপুল বাহিনী নিয়ে সিবিআইয়ের এই অভিযান ঘিরে সাত সকালেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গোটা এলাকা ঘিরে রাখে। এরপর সিবিআইয়ের আধিকারীকরা বুদ্ধদেবের বাড়িতে যান। তবে সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি বলেই প্রাথমিক খবরে জানা গেছে। বুদ্ধদেব বর্তমানে কর্মসূত্রে হাওড়ায় রয়েছেন বলে খবর।

তাঁকে না পেলেও বুদ্ধদেবের বাবা নন্দ মাইতি তাঁর স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের বেশ কিছু সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারীকরা। এছাড়াও মারিশদায় তৃণমূল নেতা দেবব্রত পন্ডার বাড়িতেও সিবিআই অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে দেবব্রতকে না পেয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে ওই জায়গায় কাটিয়ে সিবিআই ফিরে যায়। এছাড়াও তদন্তকারীরা সিবিআইয়ের এই অভিযানের খবরে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। রাজনৈতিক ভাবে অশান্ত এই এলাকাগুলিতে সামনের নির্বাচনে নতুন করে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে সেই নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। কিন্তু কোন মামলায় এই অভিযান?

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ মার্চ বিধানসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট গ্রহণের আগে কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলিতে জন্মেঞ্জয় দোলুই নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিকভাবে জন্মেঞ্জয়কে নিজেদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করে মারিশদা থানায় অভিযোগ করেছিলেন কালিপদ শীট নামে স্থানীয় এক সিপিএম নেতা। পরে নিহতের ছেলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই।

এর আগে গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এই ঘটনার তদন্তে কাঁথির ৩০ জন তৃণমূল নেতা কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছেন কাঁথি সংগঠনিক জেলার আইএনটিইউসি (INTTUC) সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বেজ, রয়েছেন কাঁথি ৩ ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও তৃণমূলের বুধ অঞ্চল নেতৃত্বরা। তবে নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকার দাবী জানিয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় কাঁথি ৩ ব্লকের তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে ওই তৃণমূল নেতাকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর ভোট মিটে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা জন্মোঞ্জয় দলাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীকালে স্থানীয় একটি ফাঁকা মাঠে তাঁর দেহ উদ্বার করা হয়।

কাঁথি ৩নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নন্দদুলাল মাইতি জানান, “সাত সকালে আমার বাড়িতে বিপুল ফোর্স নিয়ে ঢুকে পড়ে। আমার স্ত্রী, মেয়ে, বৌমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে। আমি আগেও ওদের জানিয়েছি, আমার ছেলে হাবড়ায় থাকে। আমরা কেউ এই ঘটনায় অভিযুক্ত নই। আমাদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগও নেই। আগেও আমার ছেলে হাবড়ায় সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেছে। তারপরেও বাড়িতে ঢুকে আমাদের সবার ভোটার কার্ড, আধার, ব্যাঙ্ক, রেশন কার্ড নেওয়ার চেষ্টা করেছে। বাড়ির ভেতরে ট্যাঙ্ক ভেঙেছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যারা বাড়িতে আছে সবকটাকে তুলে নিয়ে যাব”।

নন্দদুলালের অভিযোগ, “দেহরক্ষীকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করে। আমার বাড়িতে খেয়ে পরে কেন পড়ে আছে সেটা জানতে চায় দেহরক্ষীকে। আমাকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করেছে। আমি এর প্রতিবাদ জানিয়েছি”। নন্দ জানান, “আমার সম্মান আছে। এমন হাঁকডাক দিয়ে অসম্মান করছেন কেন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করতে এসেছেন, এভাবে টর্চারিং করছেন কেন এই প্রশ্নও করেছি সিবিআইকে”। নন্দর অভিযোগ, “একাধিক তৃণমূল নেতা কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আজ। এখুনি খবর পেলাম সিউলিবাড়ে আমাদের আমাদের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট করতে একাধিক বাড়ি থেকে ভোটার, আধার নিয়ে গেছে। অর্জুন মাইতি, ভানু দাস, বিষ্টুপদ দোলাই, অনিল জানার’ মতো কর্মীদের বাড়িতে গিয়েছে। অথচ এদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই”।

- Advertisement -

নিয়মিত খবরে থাকতে আমাদের সোশ্যাল সাইটে যুক্ত হয়ে যান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments