হুগলি : এটিএমের সামনে দাঁড়ানো প্রেস স্টিকার সাঁটানো একটি কালো সুদৃশ্য গাড়ি থেকে এক যুবক বারেবারে ঢুকে পড়ছেন এটিএমে, আবার বেরিয়ে আসছেন কিছু সময় বাদে। ঘটনাটি নজরে আসতেই সন্দেহ হয় পাশেই কর্মরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। তড়িঘড়ি পুলিশের বড়বাবুকে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। তখনই পুলিশ এসে ওই যুবককে পাকড়াও করতেই পর্দাফাঁস হয়ে গেল এক বড়সড় এটিএম জালিয়াতি চক্রের (Crime News)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সুব্রত গিরি। অভিযুক্ত পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির দাদপুরের হারিট বাজার এলাকায়। সোমবার দাদপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠকে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি নিমাই চৌধুরী গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে ডিএসপি জানান, “গত ২৭ ডিসেম্বর হারিট বাজারে এটিএমে জালিয়াতির চেষ্টা চালাচ্ছিল ধৃত যুবক। তবে কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের তৎপরতায় ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে গেলে পালাতে চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তবে ওসি প্রশান্ত ঘোষ তাড়া করে সুব্রতকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্তের কাছ থেকে ১৯০টি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড পেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়াও তিনটি আইফোন, সোয়াইপ মেশিন, ভুয়ো প্রেস কার্ড পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুব্রত গিরি। গাড়িতে ‘প্রেস’ লিখে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এটিএম জালিয়াতি করে বেড়াতেন তিনি। কোনও ব্যক্তি এটিএমে টাকা তুলতে গেলে তাঁকে সহযোগিতার নামে টাকা লুঠ করত অভিযুক্ত। এভাবেই প্রতিমাসে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করেছে ওই যুবক।
অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে এই চক্রে আর কারা জড়িত রয়েছে। তবে অভিযুক্ত যুবক যেভাবে নিজের দামী গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে ঘুরত তা যথেষ্ট চিন্তা বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগণার নিমতায় বসবাস করে সে। ভুগোলে স্নাতক অভিযুক্ত যুবক প্রায় বছর দুয়ের ধরে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।