নিউজবাংলা : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে মামলাকারী তথা আইনজীবী সুস্মিতা সাহাদত্ত জানান, ডাকবিভাগ মারফত না পাঠিয়ে সোজা মন্ত্রীকেই মামলার কপি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।
এই বক্তব্য শোনার পরই ফের অখিল গিরিকে মামলার কপি পাঠানোর নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘আমরা আশা করব, এবার তিনি মামলা সংক্রান্ত নথি গ্রহণ করবেন।‘ আজ বুধবার ফের মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
অন্যদিকে অখিল গিরি ইস্যুতে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি শিবির। ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত অসম, দিল্লী, উড়িষ্যা’র মতো একাধিক রাজ্যে যেমন অখিলের বিরুদ্ধে থানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি, তেমনই রাজ্য সরকারকে চাপে রাখতে রাজভবনেরও স্মরণাপন্ন হলেন শুভেন্দু। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, অখিলকে দ্রুত বরখাস্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ না নিলে আরও বড়সড় আন্দোলন হবে।
শুভেন্দুর খেদ, রাজ্যপালকে সামনে থেকে কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে বারেবারে আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি কলকাতায় নেই। এই রাজ্যে যেখানে সরকারের নামে প্রহসন চলছে সেখানে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ না হলে অরাজকতা আরও বাড়বে। বিজেপির একটা অংশের মতে, এর আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় থাকা কালীন এমন ইস্যুতে বারেবারেই তাঁর রাজ্য সরকার বিরোধী বক্তব্য সামনে এসেছে। যা বরাবরই বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে।
কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল এমনটা না করায় বিজেপি নেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে। যা নিয়ে আবার কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষও। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অখিল গিরি ইস্যুতে নিজেই ক্ষমা চেয়ে নিলেও বিরোধীদের চাপে এখনই যে কোনও বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।