Saturday, July 27, 2024
HomeKolkataবাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হচ্ছেন কেরলের বাসিন্দা প্রাক্তন আইএএস সিভি আনন্দ বোস, খুশি...

বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হচ্ছেন কেরলের বাসিন্দা প্রাক্তন আইএএস সিভি আনন্দ বোস, খুশি বিজেপি, সাবধানী তৃণমূল !

spot_img
spot_img
- Advertisement -

নিউজবাংলা ডেস্ক : বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হলেন প্রাক্তন আইএএস ড. সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে ড. সিভি আনন্দ বোস-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মেঘালয় সরকারের মুখ্য পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে মুহূর্ত থেকে তিনি শপথ গ্রহণ করবেন সেই মুহূর্ত থেকেই তিনি পূর্ণ দায়িত্ব সামলাবেন।

১৯৭৭ সালে আইএএসে যোগ দেন সিভি আনন্দ বোস। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। শিক্ষা, বন, পরিবেশের মতো দফতরের প্রধান সচিবের পাশাপাশি জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রেভিনিউ বোর্ডেরও দায়িত্ব সামলেছেন। লেখালেখিরও অভ্যাস রয়েছে বাংলার নতুন রাজ্যপালের। ইংরাজি, হিন্দির পাশাপাশি মালয়ালমে ছোট গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখেছেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর লেখা বেশ কিছু বই বেস্ট সেলারও হয়েছে।

নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণার খবরে বিজেপি শিবির যথেষ্ট খুশী। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে জানান, “নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়েছে এর জন্য আমরা খুশি। কারণ, বাংলায় প্রায়শই সাংবিধানিক সংকট হয়ে যায়। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক প্রধান। তিনি কোথায় কি করবেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। রাজ্যের মানুষ রাজ্যপালের কাছে যায় দুর্বিষহ পরিস্থিতি হলে। এখানে বিজেপির বাইরে আরও বিরোধী দল রয়েছে। রাজ্য সরকার কোনও সংবিধান বিরোধী কাজ করলে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়”।

তবে নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণার সাথে সাথেই বাংলার রাজনৈতিক মহলে ঘুরেফিরে আসছে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম। নানান ইস্যুতে ধনখড়ের কাছে ছুটে যেতেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। তিনিও নানান বিবৃতি দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে নিজের মতামত পোষণ করেছেন বারেবারে। যার জেরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের দূরত্ব বাড়ে কয়েকগুণ। পরবর্তী কালে ধনখড় চলে গেলে মনিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনকে বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকায় ততটা খুশি ছিল না বিজেপি। গত কয়েকদিনে একাধিকবার হাবেভাবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যরা। বিশেষ করে অখিল গিরি-বিতর্কে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ না পেয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য স্পষ্ট বুঝিয়ে ছিল, অস্থায়ী রাজ্যপালে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।

অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে প্রথম থেকেই লা গণেশনের সুসম্পর্ক দেখা গিয়েছে। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ শাসকদলের একাধিক নেতা। মমতার বাড়ির কালীপুজোতে গিয়েছিলেন লা গণেশন। লা গণেশনের দাদার জন্মদিনে চেন্নাইয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গিয়েওছিলেন সেখানে।  

এবার নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণার পর শুরু থেকেই কিছুটা সাবধানী তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্য, “এটি একটি সাংবিধানিক পদ। যে কারণে সংবিধানে পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল এখন তা অনেকটাই রাজনৈতিক নির্ভর হয়ে উঠেছে। আমাদের আশা রাজভবন কোনও একটা দলের পার্টি অফিস হয়ে উঠবে না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সৌজন্য বজায় থাকবে” বলেই আশাবাদী তিনি।

- Advertisement -

নিয়মিত খবরে থাকতে আমাদের সোশ্যাল সাইটে যুক্ত হয়ে যান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments