নিউজবাংলা ডেস্ক : আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আবগারি লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে (Bengal Politics) অভিযোগ। আর সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই বাংলার নাম করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মন্তব্য ঘিরেই জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে এ রাজ্যে।
ঠিক কি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেছেন, “যতই করো কান্নাকাটি, মাফলারের পর হাওয়াই চটি”। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন মাফলার চড়িয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য জনপ্রিয় দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আর হাওয়াই চটি পরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নীল সাদা চটি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রচার কর তৃণমূলও। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ক্ষমতায় থাকা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছে তখন বাংলাতেও এমনটা হতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন বিজেপির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, দুর্নীতিতে যারা যুক্ত থাকবেন তাঁরা ক্ষমতার অলিন্দে থাকলেও জেলে যেতেই হবে। দিল্লীর ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তবে এই রাজ্যে নিয়োগ ও রেশন নিয়ে বিপুল টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও প্রাক্তন আমলারা ইতিমধ্যে জেলে রয়েছেন। সেই সঙ্গে এই রাজ্যে বিপুল পরিমানে অবৈধ টাকা ও সম্পদের হদিশ পেয়েছে ইডি। যার দায়ভার বাংলার রাজ্য সরকার কোনও ভাবেই এড়াতে পারে না বলেই দাবী বিজেপি সহ বিরোধীদের।
এদিন সুকান্ত মন্তব্য করেন, “যে সব মুখ্যমন্ত্রীদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়েছে তাঁরা সাবধান থাকুন। কর্মরত মুখ্যমন্ত্রীরাও যে গ্রেফতার হতে পারেন তা দিল্লীর ঘটনা প্রমাণ করে দিল”। এরই পাশাপাশি সুকান্তের ইঙ্গিপূর্ণ মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”। এরপরেই চাঁছাছোলা ভাষায় সুকান্তের উক্তি, “আমার তো মনে হয় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর মাথার ওপর ভগবানের আশীর্বাদ রয়েছে। তাঁদের ভাগ্য ভাল বলেই মনে হয়। তাঁরা কোনও জ্যোতিষী দেখান বলেই মনে হয় এখনও পার পেয়ে যাচ্ছেন”।
আরও পড়ুন : আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার !
তবে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে হিংসার রাজনীতি বলেই দাবী করেছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর দিল্লীতে ভোটের ঠিক আগেই সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার পেছনে গোপন অভিসন্ধী রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন লিখেছেন, ‘‘ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পরেই এই ঘটনা! বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মীদের হেনস্থা গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী’’? এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেসও।
— তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন