নিউজবাংলা : রামনগরে প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে যুব তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সেদিনের সভায় সুপ্রকাশকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু’র মন্তব্য ছিল, “আপনার (অখিল) পুত্র তো আপনার ঝাড়ের বাঁশ ! সে আবার বড় নেতা? সে গ্যাজুয়েট নয় তবুও কাঁথি কলেজের সভাপতি। রামনগরের সমিতির ভোটার নয়, বলাগেড়িয়া ব্যাঙ্কের সভাপতি। বিরাট নেতা? সামনে ৪টা পুলিশ পিছনে ৪টা পুলিশ। ২০১৮ সালের পরে পার্টিতে এসে কত বড় বড় কথাবার্তা”।
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামেন সুপ্রকাশ। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে সুপকাশের দাবী, “আমি যে কলেজে পড়াশোনা করেছি শুভেন্দু অধিকারী সেই কলেজের নাম শুনেছি নাকি জানি না। কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছি। শুধু স্নাতকোত্তর নয়, পোস্ট গ্রাজুয়েটে ম্যানেজমেন্ট করেছি। আমি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতাম”।
সুপ্রকাশের আরও দাবী, “আমি গ্রাজুয়েশন পাশ করেছি ২১ বছর বয়সে। আমি উনাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি, যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর সামনে আমি সার্টিফিকেট নিয়ে বসতে রাজি আছি”। তবে এরপরেই গোটা ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনী নোটিশ পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন সুপ্রকাশ।
এরপরেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি মারফৎ শুভেন্দু অধিকারীকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবী সুপ্রকাশের। প্রকাশ্য সভায় সুপ্রকাশকে উদ্দেশ্য করে যে সমস্ত মন্তব্য করা হয়েছে সেগুলি মিথ্যে এবং অসম্মানজনক বলে আইনী নোটিশে দাবী কয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে উপযুক্ত তথ্য দিতে না পারলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত সিভিল ও ক্রিমিনাল ধারায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।