নিউজবাংলা : হাইকোর্টের নির্দেশ আগেই ছিল। শিক্ষক শিক্ষণের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই’র গাইডলাইনও রয়েছে। তাকে মান্যতা দিয়ে ২০১৭ সালের প্রায় ১০ হাজার টেট পরীক্ষার্থীর নম্বর এবং শংসাপত্র প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান। এদিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ওয়েবসাইটে তা তুলে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর সহ শংসাপত্রও দ্রুত প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
ওয়েবসাইটে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্তরা ৮২ পেলেই তাঁদের পাশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সাধারণ শ্রেণিভুক্তদের ক্ষেত্রে ৯০ পেলে পাশ বলে ধরা হয়েছে। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল লক্ষাধিক। এতজনের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করতে পর্ষদের আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
তাহলে এতদিন কেন শংসাপত্র বা নম্বর প্রকাশ না করেই নিয়োগ দেওয়া হল? এ প্রসঙ্গে গৌতমবাবু বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোনও টেকনিক্যাল ত্রুটি হয়েছিল। একের পর এক মামলা দায়ের হওয়ায় বিষয়গুলি বিচারাধীন হয়ে পড়ে। প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যাঁদের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের নম্বর পর্যদের কাছে ছিল। আমরা তা দেখেই ইন্টারভিউয়ে ডেকেছি বা নিয়োগের সময় ভেরিফিকেশন করেছি। এবার সমস্ত প্রার্থীর নম্বর প্রকাশ করায় পুরো প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হচ্ছে।’
প্রসঙ্গতঃ, এর আগে কিছু প্রার্থীকে নম্বর জানানো হয়েছে আরটিআই আইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে৷ মানিক ভট্টাচার্য পর্ষদ সভাপতি থাকাকালীন আবেদনের ভিত্তিতে শংসাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বহু আবেদনপত্র জমাও পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। প্রসঙ্গতঃ টেট ২০১৭-এর পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০২১ সালে। ফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এই পরীক্ষায় মোট ৯,৮৯৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। তাঁদের সবার প্রাপ্ত নম্বর ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়েছে।