নিউজবাংলা : এবার প্রাথমিক টেট শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই মিলবে সার্টিফিকেট৷ এমনই আশ্বাস দিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ শুধু তাই নয়, স্বচ্ছতা থাকবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। পরীক্ষার্থীরা নিজেরাই জেনে নিতে পারবেন মডেল উত্তর এবং ওএমআর শিটের প্রতিলিপি৷ কোনও অভিযোগ থাকলে তাও পর্ষদকে জানানো যাবে। ফলে টেট নিয়ে কোনও অস্বচ্ছতার প্রশ্ন থাকবে না বলেই মনে করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চাকরিপ্রার্থীরা এই খবরে বেশ উৎসাহী।
পর্ষদও সেপথে হাঁটছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। প্রস্তুতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গৌতমবাবু বলেন, একেবারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বচ্ছতাই নিশ্চিত করতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই অনুযায়ী প্রস্তুত হচ্ছে পর্ষদ। এরফলে পরীক্ষার্থীরা যেমন নিজেদের স্কোর আন্দাজ করে নিতে পারেন, তেমনই কোনও মডেল উত্তর নিয়ে আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে এক পরীক্ষার্থী বলেন, টেট ২০১৪-তে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখনও সার্টিফিকেট পাননি। আমরা যদি সত্যিই এক সপ্তাহের মধ্যেই তা পেয়ে যাই, সেটা বেশ ভালো খবর। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম বোর্ড মডেল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের ওএমআর শিটও আপলোড করে দেয়।
জানা যাচ্ছে, এবার টেট পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক হাজিরার পাশাপাশি থাকছে ফেসিয়াল স্ক্যান, মেটাল ডিটেক্টর। এর ফলে ভুয়ো পরীক্ষার্থী যেমন ধরা যাবে, তেমনই কেউ কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে এলেও ধরা পড়বেন। প্রয়োজনে হবে দেহ তল্লাশি। রাজ্যের পরীক্ষাগুলিতে এই দেহতল্লাশির বিষয়টি সেভাবে ছিল না। তবে, এবার কঠোরভাবে তা পালন করা হবে।
দেহ তল্লাশিতে আপত্তিকর কিছু মিললে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। পরীক্ষা তো বাতিল হবেই, অন্যান্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করা হবে। সেই জন্যই পর্ষদ সোনা বা অন্য কোনও ধাতুর গয়নাগাটি পরে না আসারই পরামর্শ দিচ্ছে। না-হলে মেটাল ডিটেক্টর বিভ্রান্ত হবে। আর বিস্তারিত দেহ তল্লাশির মুখে পড়তে হবে প্রার্থীকে। পরীক্ষার জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম। কোথাও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তা ঠেকানো যাবে। তার জন্যও তৈরি থাকবে বিশেষ দল।