Saturday, July 27, 2024
Homeদক্ষিণবঙ্গবুথ ও অঞ্চল ভিত্তিক সভা, মিছিল, দেওয়াল লিখন – কাঁথিতে অভিষেকের মেগা...

বুথ ও অঞ্চল ভিত্তিক সভা, মিছিল, দেওয়াল লিখন – কাঁথিতে অভিষেকের মেগা জনসভায় ভীড় সুনিশ্চিত করতে কসুর রাখেনি তৃণমূল !

spot_img
spot_img
- Advertisement -

কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : আজ শনিবার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে তৃণমূলের বিশাল জনসভা। প্রধান বক্তা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজ্যে শাসক দলের এটি প্রথম সভা। সভাস্থল কাঁথি’র অধিকারী বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ থেকে মাত্র কয়েক’শ মিটার দূরে হওয়ায় সভা ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা রয়েছে কাঁথিতে। ইতিমধ্যে অধিকারী পরিবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ায় উত্তেজনার পারদ চড়েচে আরও কয়েকগুন।

এমন একটি হাই ভোল্টেজ সভায় বিজেপিকে চাপে রাখতে তৃণমূলের হাতিয়ার বিপুল জমায়েত। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব কাঁথি শহরে ১ লক্ষ জমায়েতের ঘোষণাও করে দিয়েছেন। তবে তা যে নেহাতই কথার কথা নয় তা কিন্তু স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বরা। গত প্রায় মাস খানেক ধরে এই সভার জন্য রীতিমতো ঘাম ঝরাচ্ছেন তাঁরা।

কাঁথি সাংগঠনি জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক তরুণ মাইতি জানান, “অভিষেকের সভার জন্য প্রস্তুতির কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। জেলা জুড়ে প্রতিটি বুথ, অঞ্চল ও ব্লক স্তরে সভা, মিছিল, মাইক প্রচার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন হয়েছে। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলা তমলুক ও কাঁথি’র নেতৃত্বরা প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিভিউ মিটিং করে জন সমাগম নিশ্চিত করেছেন”।

তিনি আরও জানান, “জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে ছোট বড় গাড়ি করে সমর্থকরা মিটিংয়ে যোগ দিতে আসবেন। যার দায়িত্বে থাকছেন সেই এলাকার বুথ স্তরের নেতৃত্বরা। পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরেও গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আর সমস্ত বিষয়টিতে নজরদারী চালাবেন জেলা নেতৃত্বরা। শনিবার বেলা ১টায় সভা শুরু হচ্ছে। তার আগেই সমর্থকরা সভাস্থলে পৌঁছে যাবেন। তবে সকাল ১০টা থেকেই সভাস্থলে ভীড় জমতে শুরু করবে বলেই দাবী তরুণের”।

তবে এই বিপুল জমায়েতের জেরে যাতে কাঁথি শহরে যানজট না হয় সে বিষয়ে কড়া নজরদারী রাখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গাড়িগুলোর জন্য আলাদা আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তবে অভিষেক ব্যানার্জি ছাড়া আর কোনও নেতার গাড়ি মঞ্চের কাছে যাবে না বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা।

তরুণ জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যে মঞ্চ বাঁধার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সুরক্ষা আধিকারীকরা সভাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন আগেই। গোটা এলাকাটিকে সুরক্ষা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যের পর মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ করে ট্রায়াল দেওয়া হবে” বলে জানিয়েছেন তিনি।

- Advertisement -

নিয়মিত খবরে থাকতে আমাদের সোশ্যাল সাইটে যুক্ত হয়ে যান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments