নিউজবাংলা : ব্লুটিকের জন্য ইতিমধ্যেই মাসিক আট ডলার খরচ ধার্য করেছেন এলন মাস্ক। কয়েকটি দেশে তা চালুও হয়েছে। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা অব্যাহত। তবে এই ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতি থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটতে নারাজ এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের নয়া মালিক টেসলা কর্তা।
এরমধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে টুইটারের অন্দর থেকেই। সূত্রের খবর, এবার টুইটার ব্যবহারের জন্য গাঁটের কড়ি গুনতে হতে পারে সাধারণ ইউজারদেরও। সম্প্রতি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এব্যাপারে আলোচনা করেছেন মাস্ক। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
টুইটারের দায়িত্বে নেওয়ার পর সংস্থার খোলনলচে বদলানোর বার্তা দিয়েছিলেন নয়া কর্তা। ব্লুটিকের মাসিক খরচ থেকে কর্মী ছাঁটাই— তাঁর একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন, টুইটার ব্যবহারের জন্যও প্রত্যেককে দাম দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রত্যেকের জন্য এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারের সময়সীমা বেঁধে দিতে চাইছেন মাস্ক।
ওই নির্দিষ্ট সময়ের পরও টুইটার ব্যবহার করতে হলে ইউজারকে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। তার জন্য কিছু টাকা নেবে সংস্থা। অর্থাৎ, ঘুরিয়ে সমস্ত বা সিংহভাগ ব্যবহারকারীর থেকে অর্থ আদায়ের নয়া পথ খুলতে চাইছেন মাস্ক। যদিও সাবস্ক্রিপশনের খরচ কী হবে, সেব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য মেলেনি।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, মালিকানা হস্তান্তরের পর নয়া টুইটার কর্তার সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়েছে সংস্থার বিজ্ঞাপনেও। হু হু কমছে আয়৷ নিজেই সেকথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। তখনই ইউজারদের থেকেই বিকল্প আয়ের ইঙ্গিত দেন মাস্ক।