তমলুক : ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার থেকেই উপভোক্তাদের বাড়ির কাজ শুরু করে দেওয়ার কথা। কিন্তু টাকা বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি বরাদ্দই তো এখনও মেলেনি। বুধবারই শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১ পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বাড়ির তৈরির সময়সীমা ক্যালেন্ডার (Awas Yojana) উপভোক্তা পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা।
ওই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৯ থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি তৈরির জায়গা পরিষ্কারসমতল এবং রাজমিস্ত্রি নিয়োগ করতে হবে। ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি তৈরির নির্মাণ সামগ্রী (ইট, বালি, স্টোন চিপস ও রড) সংগ্রহ করতে হবে। আর ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভিত খননের কাজ করতে হবে।
এছাড়াও আগামী মার্চ মাসের কোন তারিখের মধ্যে বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আবাস গ্লাস প্রকল্পে প্রথম দফায় ৫৩ হাজার ৪০০ পরিবারের পাকাবাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ওই সব উপভোক্তাদের প্রায় সকলেই উদ্বেগে রয়েছেন।
উপভোক্তারা জানাচ্ছেন, “প্রশাসনের তরফে আমাদের জানানো হয়েছে ৯০ দিনের মধ্যে পাকাবাড়ি তৈরি সম্পূর্ণ করতে হবে। পঞ্চায়েত থেকে ক্যালেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারি টাকাই তো পেলাম না। কাজও শুরু করতে পারিনি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ির কাজ করতে পারা যাবে কি না, চিন্তায় পড়েছি।”
নন্দকুমারের খেজুরবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল সাহুর কথায়, “ছিটে বেড়ার ঘরে স্ত্রী, ছেলে মেয়েকে নিয়ে এই শীতের সময়ে কোনও রকমে দিন কাটছে। পুরনো এই বাড়ি ভেঙে সেই জায়গায় বাড়ি তৈরি করব। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় পুরনো বাড়ি ভাঙার ঝুঁকি নিতে পারছি না।”
এ ব্যাপারে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনীর বিডিও অমিত গায়েন বলেন, “জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করতে সম্ভাব্য সময়সীমা ধরে একটি ক্যালেন্ডার দেওয়া হচ্ছে। যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পাকাবাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করা যায়।”
উপভোক্তাদের অসুবিধার কথা মানছেন বন্ধুক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎ নেট্যা। তিনি বলেন, প্রশাসনের তরফে আবাস যোজনার পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে কাজের জন্য “আবাস প্লাস উপভোক্তাদের বাড়ি ক্যালেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক যে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে টাকা জমা পড়েনি। এ নিয়ে আমাদের কাছে উপভোক্তারা নালিশ করছেন।”