নিউজবাংলা : দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার একটি বিশেষ আভাস পাচ্ছে অর্থমন্ত্রক। ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্ন সেক্টরের ঋণগ্রহণের প্রবণতা এবং পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, এমনই রিপোর্ট পাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থমন্ত্রক। সামগ্রিকভাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাঙ্কঋণ নেওয়ার হার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যা বেড়েছিল ৭ শতাংশ। অর্থাৎ বৃদ্ধিহার এক ধাক্কায় অনেকটাই আশাব্যঞ্জক। সবথেকে ইতিবাচক হল যে সেক্টরগুলি দীর্ঘদিন ধরেই কিছুতেই প্রত্যাশিতভাবে চাঙ্গা হওয়ার লক্ষণ দেখায়নি, সেই শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলিও উর্ধমুখী প্রবণতা দেখাতে শুরু করেছে।
পরিষেবা সেক্টরের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার হার বেড়েছে ২০ শতাংশ। পেট্রলিয়াম, সিমেন্ট, কয়লা, কেমিকেল, রাবার, প্লাস্টিক এবং টেলিকম সেক্টরের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য হয়েছে ঋণগ্রহণের হার। অর্থমন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ঋণ গ্রহণের হার ও প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ হল, বাণিজ্য সম্প্রসারণে গতি সঞ্চার।
আর এই তালিকায় সবথেকে সন্তোষজনক আভাস দেখাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি। যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিটকে চাঙ্গা করার জন্য বিগত ২ বছর ধরে একের পর এক উৎসাহ প্যাকেজ অথবা উৎপাদন ভিত্তিক বিভিন্ন ছাড়া দেওয়া হয়েছিল। ঋণের উপরও বেশ কিছু কিস্তি স্থগিতের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মহল অবশেষে এবার নিজে থেকেই অনেক বেশ আগ্রাসী হয়ে ঋণ গ্রহণের আবেদন করে চলেছে।
শিল্পমহলের থেকে আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত পাওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ঋণ গ্রহণের প্রবণতাও বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অথচ বেড়েছে রেপো রেট। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক ঋণের উপর সুদের হারে বৃদ্ধি হয়েছে বিগত পাঁচ মাসে৷ তা সত্ত্বেও বাড়ি, গাড়ি, ভোগ্যপণ্য এবং রিটেল ব্যবসায় ব্যাঙ্ক মাপকাঠিকেই আবার মানুষের অর্থ উপার্জনের স্বাভাবিকতা থেকে ঋণ পাওয়ার আবেদন বেড়ে যাচ্ছে। এই প্রতিটি ফিরে আসা হিসেবেই দেখছে অর্থমন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।