নিউজবাংলা : বছরভর চড়া দামে আলু কিনতে বাধ্য হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে পিঁয়াজের দাম ছিল সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু শীতের আগেই বদলে গেল পরিস্থিতি। আলুর দাম সামান্য কমেছে ঠিকই, কিন্তু পিঁয়াজের দাম যেভাবে হল্কা ছড়াচ্ছে, তাতে চিন্তায় মধ্যবিত্ত।
মাসখানেক আগেও পিঁয়াজের দর ২০-২৫ টাকার মধ্যে ছিল, এখন তা কেজি প্রতি ৪৫৫০ টাকা। এক সপ্তাহের মধ্যেই পিঁয়াজের দর কেজি প্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা। এই সঙ্কট এখনই কাটবে বলে মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা। কারণ সিংহভাগ পিঁয়াজই অন্য রাজ্য থেকে আনতে হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবী, এরাজ্যে যে পিঁয়াজ চাষ হয়, তা দু’মাসের মধ্যেই ফুরিয়ে যায়। অগত্যা ভরসা মহারাষ্ট্র। আলু পোস্তা মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়শনের সেক্রেটারি রাণা সিনহার কথায়, এখন মহারাষ্ট্র থেকে যে পিঁয়াজ আসছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে নতুন পিঁয়াজ উঠলে বাজার স্বাভাবিক হবে। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা থেকেও এ রাজ্যে পিঁয়াজ আসে।
পোস্তার পাইকারি বাজারে এক সময় দিনে ২৫-৩০টি গাড়ি আসত পিঁয়াজের। গত কয়েক বছরে তা কমে ১৫-১৬টিতে নেমেছে। গাড়ি পিছু ২০ টন পিঁয়াজ আসে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মালের অপ্রতুলতার কারণে দুর্গাপুজোর পর থেকেই গাড়ির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এখন সাকুল্যে তিন-চারটি গাড়ি আসছে৷
মহারাষ্ট্রের পুরনো পিঁয়াজের দর মণ পিছু ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। টাকা। অর্থাৎ পাইকারি বাজারেই প্রতি কেজির দাম ৩০ টাকার বেশি। তবে দক্ষিণ ভারতের পিঁয়াজের গুণমান মোটেই ভালো নয়। তার দর পাইকারি বাজারে দর ১০ থেকে ১২ টাকা প্রতি কেজি৷ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে মহারাষ্ট্র, বলছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, বাংলাদেশে পিঁয়াজের টান পড়েছে। সেখানেও বাজারদর চড়া৷ তাই সেদেশে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে পিঁয়াজ।