নিউজবাংলা : সাধারণ মানুষের কাছে সরকারী পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলেও বহু মানুষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে নিজেদের সমস্যামুক্ত করতে ভীড় জমাচ্ছেন। কিন্তু এই ক্যাম্প করার জন্য বহু জায়গাতেই একাধিক স্কুলকে বেছে নেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক মহলে। এরফলে পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলেই দাবী একাংশ শিক্ষদের।
একদিকে বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট। এছাড়াও পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর তৃতীয় সামগ্রিক মূল্যায়নের পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোর কদমে। একাধিক শ্রেণীর ষান্মাসিক পরীক্ষাও শুরু হবে শীঘ্রই। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে দুয়ারে সরকার করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকেরা। অনেকের দাবী, স্কুলে ক্যাম্প করায় অযাচিত ভাবে স্কুলের পঠন পাঠন সাময়িক বন্ধ করতে হচ্ছে।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বেহালা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস বেরা জানিয়েছেন, বুধবার দুয়ারে সরকার প্রকল্প থাকায় তাঁদের স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা সকলে স্কুলে এসেছেন, কিন্তু ক্লাস হয়নি। আমাদের স্কুলে দুয়ারে সরকারের পরবর্তী শিবির আবার হবে মাধ্যমিকের টেস্ট চলাকালীন। তাই পরীক্ষার রুটিনও এমন ভাবে ফেলতে হয়েছে যাতে শিবিরের দিনে পরীক্ষা না থাকে।’’
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু হচ্ছে ১৭ নভেম্বরের পরে। অন্য দিকে, নিচু ক্লাসের তৃতীয় সামগ্রিক মূল্যায়ন শুরু হচ্ছে ২৫ নভেম্বরের পর থেকে। যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে যে দিন দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবির হবে, সে দিন দশম শ্রেণির টেস্ট রয়েছে। তবে স্কুলের দু’টি দরজা রয়েছে। তাই দ্বিতীয় দরজা দিয়ে ঢুকে মাঠের মধ্যে শিবিরের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। ’’
কলকাতার হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলকে এই সরকারি কর্মসূচির জন্য নেওয়া না-হলেও শহরতলির অনেক স্কুল চত্বরেই ওই প্রকল্পের আয়োজন করা হচ্ছে। যার জেরে সেখানে পঠনপাঠন অনেকাংশে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও শিক্ষা দফতরের এক কর্তার মতে, ‘‘এখন শুধু স্কুল নয়, বিভিন্ন ক্লাব ও কমিউনিটি সেন্টারও ওই কর্মসূচির জন্য নেওয়া হচ্ছে। স্কুলে প্রকল্প করা হলেও মাইক বাজানো হচ্ছে না। তাই পঠনপাঠন বা পরীক্ষা নিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’