নিউজবাংলা : অন্তরঙ্গ মুহূর্তে থাকা কালীনই প্রেমিকার গলায় একের পর এক ছুরির কোপ বসিয়েছিল প্রেমিক যুবক। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj Crime) রবীন্দ্রপল্লীতে নিজের বাড়িতেই খুন হয়ে যাওয়া সুপ্রিয়া দত্তের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত প্রবাল সরকার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে আরও ৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ১১ই নভেম্বর নিজের বাড়ির মধ্যে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় সুপ্রিয়ার দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় চলে আসে প্রবাল ওরফে ছোটু। বেগতিক দেখে গা ঢাকা দেয় ওই যুবক। তবে ঘটনার ৪ দিন পর গত ১৬ নভেম্বর প্রবালকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
কিভাবে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছিল সেই বিষয়ে তদন্ত চালাতে গিয়েই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, বিশেষ মুহূর্তেই সে প্রেমিকার গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছিল। একবার নয়, বারেবারে ৪ বার। এমন পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিল না ৪১ বছরের সুপ্রিয়া। ব্যাগে করে আগে থেকেই ধারালো ছুরি নিয়ে গিয়েছিল প্রবাল। এমন সময় হামলার ফলে মহিলা কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
ইতিমধ্যে পুলিশ জলপাইগুড়ির বামনপাড়া এলাকায় প্রবালের বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, ঘটনার দিন প্রবালের পরা পোশাক, ব্যাগ-সহ আরও কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। রবিবার নতুন করে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শীঘ্রই খুনিকে কড়া প্রহরায় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে পুলিশ জানিয়েছে।
তথ্য সংবাদ- আনন্দবাজার অনলাইন