নিউজবাংলা : কলকাতায় বিক্ষোভরত চাকরীপ্রার্থীর হাতে পুলিশ কনস্টেবলের কামড় বসিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তারই মাঝে সরাসরি পুলিশের এই কামড়ের ঘটনাকে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে সমর্থন জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি।
মেদিনীপুরে তৃণমূল পরিচালিত একটি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুলিশকর্মীর এই ‘কামড়’ অস্ত্রকে সমর্থন জানান তৃণমূল বিধায়ক। অজিত মাইতির দাবি, কোনো অবস্থানকারী নিজেদের পুলিশের হাতে কামড়ে দেয়, আর সেই পুলিশ যদি পাল্টা অবস্থানকারীকে কামড়ায় তা নিয়ে রে রে করবে সেটা ঠিক নয়।
তাঁর কথার অর্থ পুলিশ ঠিক করেছে। এরপর অবশ্য গোটা ঘটনা ঘিরে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জেলার তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, পুলিশকে যদি কেউ কামড়ায় তাহলে পুলিশ তাকে রসগোল্লা ছুড়বে নাকি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন থামাতে গিয়ে এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড় দেয় এক মহিলা পুলিশকর্মী। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অজিত মাইতি পুলিশের কামড়ের ঘটনাকে সমর্থন জানানোয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক চর্চা।
এদিকে চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে পুলিশের কামড় নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এবার সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনেও বলা হল, মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে। আজ সকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাতের ক্ষত পরীক্ষার জন্য আসেন অরুণিমা। তাঁর হাত পরীক্ষা করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সক লেখেন, হিউম্যান বাইট, অর্থাত্, মানুষের কামড়ের চিহ্ন মিলেছে চাকরিপ্রার্থীর হাতে।