নিউজবাংলা ডেস্ক : ভোট চলাকালীন কোচবিহারে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ভোট পর্বে কোচবিহারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখতে স্বশরীরে উত্তরবঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের সময় কোনও এলাকায় কেবলমাত্র ভোটার বা ভোট পরিচালনায় (WB Governor) দায়িত্বপ্রাপ্তরাই থাকতে পারেন। এর বাইরে কেউ এলাকায় গেলে তা নির্বাচনের বিধি ভঙ্গ হওয়ার সামিল। সেই হিসেবে ভোট চলাকালীন রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরও বিধি ভঙ্গের আওতায় পড়তে পারে বলেই কমিশন জানিয়েছে।
আনন্দবাজার অনলাইন সূত্রে খবর, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের পাশাপাশি রাজ্যপালের সফরকালে তাঁর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রোটোকল অনুযায়ী, কোনও জায়গায় রাজ্যপাল গেলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির থাকতে হয় সেখানকার জেলা শাসককে। সুরক্ষার দিকটি দেখতে হয় পুলিশ সুপারকে। কিন্তু এই দুই আধিকারীকই ভোটের মূল কান্ডারী। তাই রাজ্যপালের দেখভাল করা অত্যন্ত সমস্যার হয়ে উঠতে পারে বলেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারীকের দফতরের সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন।
ভোটের প্রচার শেষের পর রাজ্যপাল এসে ভোটের এলাকায় থাকতে, ঘুরতে পারেন না। তিনি নির্বাচন কমিশনের কেউ নন। ভোটারও নন। বিজেপি এইভাবে পরোক্ষ প্রচার, প্রভাব খাটাতে চাইছে।
অবিলম্বে রাজ্যপালের প্রথম দফা নির্বাচনের এলাকায় ঢোকা বন্ধ করা হোক।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 17, 2024
রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ভোটের প্রচার শেষের পর রাজ্যপাল এসে ভোটের এলাকায় থাকতে, ঘুরতে পারেন না। তিনি নির্বাচন কমিশনের কেউ নন। ভোটারও নন। বিজেপি এইভাবে পরোক্ষ প্রচার, প্রভাব খাটাতে চাইছে। অবিলম্বে রাজ্যপালের প্রথম দফা নির্বাচনের এলাকায় ঢোকা বন্ধ করা হোক”। সব মিলিয়ে ভোট পর্বে রাজ্যপালের কোচবিহার সফর ঘিরে নির্বাচন কমিশনের বাধার পর তিনি আদৌ উত্তরবঙ্গে যাবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল। যদিও এই বিষয়ে রাজভবন থেকে নতুন করে কোনও বার্তা দেওয়া হয় নি।