নিউজবাংলা ডেস্ক : ২৬ হাজার শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। আজ শীর্ষ আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলার শুনানি। হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা (WB SSC Recruitment) শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে তিন বিচারপতি বেঞ্চের রায়ের উপরেই। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে এই বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি জে পি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। মোট চারটি মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে।
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আবেদন করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং গোপীনাথ ভঞ্জ সহ অন্যরা। আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করবেন অভিষেক মনু সিংভি, মুকুল রোহতগি, পার্থসারথি দেববর্মন, মীনাক্ষি অরোরা, পি এস পাটওয়ালিয়ার মতো আইনজীবীরা। আর বিবাদীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এর আগেও এসএসসির এই মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল। একসঙ্গে ২১টি মামলা শুনেছিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ। গত বছর নভেম্বর মাসে তাঁরা নির্দেশ দিয়েছিলেন, দু’মাসের মধ্যে সিবিআই তদন্ত শেষ করতে হবে। এবং ছ’ মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ মামলার নিষ্পত্তি করবে।
হাইকোর্টে মামলা পাঠানোর বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য ছিল, এভাবে একলপ্তে এতজনের চাকরি বাতিল করা যায় না। যদিও হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ এক লপ্তে প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল করেছে। তাই ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলায় কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা। আজ শুরু শুনানি। আবেদনকারীদের আশা, হাইকোর্টের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেবে শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে, আজই সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে সন্দেশখালি মামলাও। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে শুনানি হবে। সন্দেশখালি মামলায় গত ১০ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচন পর্বের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ঘিরে চাপা উত্তেজনায় ফুটছে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।