নিউজবাংলা ডেস্ক : রাজ্যে করোনা গ্রাফ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চিকিৎসক থেকে বুদ্ধিজীবি নাগরিক সমাজ সহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে ভীড় নিয়ন্ত্রণের পক্ষে জোরাল সওয়াল তুলেছেন। তবে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের রুজি রুটির সমস্যার কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে না গিয়ে আপাতত আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ লাগু করার নির্দেশিকা জারি করেছে। সরকারের যুক্তি, এই পদ্ধতিতেই গত কয়েক মাসে রাজ্যের করোনা গ্রাফ সম্পুরণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। এক ঝলকে দেখে নিন কোন কোন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি হল রাজ্যে –
১। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পঠনপাঠনের কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে ৫০% কর্মী নিয়ে অফিসের কাজকর্ম চালানো যাবে।
২। সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী অফিসে সর্বাধিক ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে।
৩। সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লার, সেলুন বন্ধ থাকবে।
৪। সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র, চিড়িয়াখানা, সাধারণ ও বিনোদনমূলক পার্ক বন্ধ থাকবে।
৫। রাত্রি ১০টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে রেস্টুরেন্ট, বার, শপিং মল। তবে সেক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০% গ্রাহক একসঙ্গে ভেতরে যেতে পারবেন।
৬। ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে চালানো যাবে সিনেমাহল, থিয়েটার খোলা থাকবে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত।
৭। সভা, সমিতি করা যাবে সর্বাধিক ২০০ জন কর্মী নিয়ে। তবে ইন্ডোরের ক্ষেত্রে অর্ধেক আসনে লোক নিয়ে সভা সমিতি করতে পারবে।
৮। সামাজিক, কালচার্যাল, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিয়েবাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন লোক আসতে পারবেন।
৯। মৃতদেহ সৎকারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২০ জন অংশ নিতে পারবেন।
১০। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। তবে সন্ধ্যে ৭টার পর আর লোকাল চলবে না।
১১। মেট্রো ট্রেন নির্ধারিত সময় ধরেই চলবে। তবে ৫০%-এর বেশী যাত্রী ওঠা যাবে না।
১২। রাত্রি ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কার্ফু। এই সময়ের মধ্যে রাস্তায় ঘোরাফেরা, গাড়ি চলাচল বা কোনও প্রকার জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।
এরই পাশাপাশি যে সমস্ত বিষয়গুলি অবশ্যই মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কেও গাইড লাইন জারি করা হয়েছে সরকারী নির্দেশিকায়। যেখানে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, বাড়ির বাইরে বেরলেই মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও দূরত্ববিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। তা না হলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।