পুরুলিয়া : গত কয়েকদিন ধরে টানটান উত্তেজনার আবহে সোমবার সম্পন্ন হল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট। এই পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ৫, কংগ্রেসের ৫ এবং বাকী ২টি ছিল নির্দলের দখলে। এই নির্দলের সমর্থন নিয়েই বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। তবে আজ নির্দল দুই কাউন্সিলারের সমর্থন পেয়ে ঝালদা’র দখল নিল কংগ্রেস। মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবির অক্সিজেন পেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঝালদা’র আস্থা ভোট নিয়ে দীর্ঘ টানাটানি’র মাঝে বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে গড়ায়। হাইকোর্টের নির্দেশে আজ সাড়ে ১২টায় ঝালদার আস্থা ভোট আয়োজন হয়। ব্যাপক উত্তেজনায় ফুটতে থাকায় গোটা শহর জুড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। বিপুল পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় পুরসভা এলাকায়। শহর জুড়েও বিশাল পুলিশ টহলদারী শুরু করে।
তলবি সভায় এদিন সময় মতো কংগ্রেসের ৫ ও নির্দলের ২ কাউন্সিলার চলে এলেও তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলারই আস্থা ভোটে হাজির হননি। অবশেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৭ সদস্য নিয়ে আস্থা ভোট জিতে নেয় কংগ্রেসের। ভোট শেষে নির্দল কাউন্সিলাররা জানান, উন্নয়ন ও মানুষের জন্য কাজ করতেই তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়েছি। এবার পুরসভার উন্নয়নের কাজ হবে বলে আশা করছি।
এই ঘটনাকে জনগনের জয় বলে আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের নেতাদের এর জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। অধীরের অভিযোগ, ঝালদা দখল রাখতে গিয়ে যথেচ্ছ ভাবে আইনের অপব্যবহার করেছিল তৃণমূল। ভুরি ভুরি মামলা, ভয় দেখানো কোনও কিছুই বাকী রাখা হয়নি বলে অভিযোগ জানান অধীর। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে পুরসভার দখল কংগ্রেসের হাতে চলে আসায় এলাকাবাসীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, আদালতের নজরদারীতে ঝালদায় আস্থা ভোট হয়েছে। যে ফলই হোক না কেন তা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। আজকে গণতান্ত্রিক পথে আস্থা ভোট হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।