নিউজবাংলা : গরুপাচার মামলায় অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল এখন জেলে। কিন্তু এই কালো টাকা সাদা করার জন্য কোন কোন পথ বেছে নিয়েছিল বাহুবলী নেতা তার তথ্য তালাশে হন্যে হয়ে ঘুরছে গরুপাচার মামলার তদন্তকারী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারীকরা। সম্প্রতি অনুব্রতর ১ কোটির লটারি জেতার নেপথ্যে জোরাল তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আর সেখানেই আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর।
তদন্তকারীদের দাবী, মাস কয়েক আগে ডিয়ার লটারির ১ কোটি টাকা অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে ঢোকার পাশাপাশি ২০১৯-এও বাহুবলী নেতার অ্যাকাউন্টে মোটা অংকের লটারির টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল বলে জানা গেছে। এরই পাশাপাশি অনুব্রতর কন্যা সুকন্যার অ্যাকাউন্টেও দু’বার লটারি থেকে বিপুল টাকা ঢুকেছে বলে খবর।
এই লটারি জেতার আড়ালে কি কালো টাকা সাদা করার কৌশল লুকিয়ে নাকি সত্যিই এমন লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত তা নিয়ে জোরাল তদন্ত চালানো হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবী, গরুপাচারের বিপুল কালো টাকাই লটারির মাধ্যমে ঘুরপথে সাদা হয়ে ঢুকেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তথ্য তালাশে বীরভূমের একাধিক লটারির দোকানে হানা দিয়েছেন তদন্তকারী সিবিআইয়ের আধিকারীকরা।
যদিও গোটা ঘটনায় কোনও অস্বাভাবিকতা দেখছেন না বলেই দাবী করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। কুনালের দাবী, কেউ একাধিক লটারি কেটে থাকতে পারেন। ৪০ বার টিকিট কেটে একবার জিতলে তার অপরাধ কোথায়। কুনালের মতে, ডিয়ার লটারি ভিন রাজ্য থেকে চালানো হয়। সেখানে কে জিতবে না জিতবে তা তৃণমূলের দেখার বিষয় নয়। কেউ লটারি জিতলে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।