পশ্চিম মেদিনীপুর : ‘এখন জঙ্গি রপ্তানি করছে পশ্চিমবঙ্গ। সারাদেশে কোথাও জঙ্গির ক্রিয়া-কলাপ নেই পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি রপ্তানি হচ্ছে। সারা ভারতের যত গ্যাংস্টার বাংলায় এসে লুকিয়েছে। জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প তৈরি করে সারা ভারতবর্ষে জঙ্গি পাঠিয়ে উৎপাত করানো হচ্ছে’। খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সংসদ দিলীপ ঘোষ।
তাঁর দাবী, ‘খড়্গপুরের মানুষ চিরদিন অত্যাচারিত হয়েছে, পুলিশের হাতে এবং এখানকার পার্টির হাতে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের সাথে হাত মিলিয়ে মাফিয়া গিরি জোরদার করেছে। জেল থেকেই মাফিয়ারা এখানে অপারেট করে। যত বেআইনি কাজ রেলের মাল চুরি করা থেকে শুরু করে বালি চুরি করা প্রকাশ্যে হয়’।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েও রাজ্যকে একহাত নিয়ে দিলীপের দাবী, ‘কেন্দ্রের সাথে কথা বলা উচিত। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কার কার সাথে লড়বে? গুন্ডা মাফিয়া দুর্নীতির সঙ্গে লড়বে আবার আবার ডেঙ্গুর সঙ্গেও লড়বে। কোথায় যাবে মানুষ’। দিলীপের মন্তব্য, ‘মমতা ব্যানার্জি সরকার চালাবেন না পার্টি চালাবেন, কি করবেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন দিনরাত পার্টি বাঁচাবার জন্য কারণ আর কোন পার্টিতে নেতা নেই নেতার কোন ভাবমূর্তি নেই এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নেই’।
দিলীপের এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘সারা দেশে জঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য কেন্দ্র দায়ী। বিজেপি সরকারের আমলে বেড়েছে জঙ্গি হানা। খড়গপুর শহরে কয়েক দশক শান্ত। রক্তপাতের ঘটনা নেই। শান্ত খড়গপুর কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি’।
তাঁর দাবী, ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্য সরকার তৎপর। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত রয়েছে। দিলীপ বাবুরা আগে তাদের দল সামলাক তার পরে শাসক দল নিয়ে কথা বলুন। নিজেদের পার্টি অফিসে নেতা মার খাচ্ছে সেটা সামলাতে পারছেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করছেন সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে রয়েছে। গুরু নানকের জন্ম দিন উপলক্ষ্যে সৌহার্দ্যের প্রতীক হাতে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু উনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে তরোয়াল হাতে নিয়ে হুংকার দেন তাতেই পার্থক্য’।